বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্রলীগের এক গ্রুপের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপ।
রক্তিম-বাকী গ্রুপ ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ লিপ্ত দাবি করে বিক্ষেভ করেছে রাফি-শরীফ গ্রুপের অনুসারীরা।
রোববার (৫ আগস্ট) সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসের চারদিক প্রদক্ষিণ করে এবং পরে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে রক্তিম-বাকী গ্রুপের শাস্তির দাবি জানান তারা।
এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী মাহামুদুল হাসান তমাল বলেন, বাকী ও রক্তিম বহিরাগত। এরা ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকিয়ে দিয়েছে ৷ এদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। এদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগ কর্মী খালিদ হাসান রুমি বলেন, আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিক। আমরা সন্ত্রাসকে কখনো প্রশ্রয় দিই না। যারাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে তাদের কালোহাত রুখে দেব। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বহিষ্কৃত এক বহিরাগত হল দখল করে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। বহিরাগতরা বিভিন্ন কক্ষ দখল করে রেখেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ছাত্রলীগ সহ্য করবে না। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে, অন্যথায় আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
ছাত্রলীগ কর্মী ফাত্তাউর রাফি বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতের দৌরাত্ম্যে আজকের এ পরিস্থিতি। হল প্রশাসনের দায়সাড়া দায়িত্বে হলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমরা একতাবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলব। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে এর জবাব হল প্রশাসনকে দিতে হবে। কীভাবে বহিরাগতরা হলের সিট দখল করে রাখে? সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা আমরা করব।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের চেষ্টার অভিযোগে নগরের আরশেদ আলী কনস্ট্রাক্টর গলির ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে মুয়িদুর রহমান বাকীসহ ৬ জনকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি এন্টি জ্যামার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ৫টি ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ব্লুটুথ ইনডাকশন (ইয়ারফোন), প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত ১১টি মোবাইল সেট (সিমসহ), অতিরিক্ত ২টি সিমকার্ড, ১টি হেডফোন এবং ৩টি পেন ড্রাইভ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার বাকী দীর্ঘদিন নিজেকে গুটিয়ে নেয়, পরবর্তীতে ছাত্রলীগের একপক্ষের সাথে সক্ষতা গড়েন তিনি এবং ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালায়।